দেশ

বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় গোটা পাহাড় অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই

যোদ্ধা ডেস্কঃ বান্দারবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর ব্যাংক ও থানায় হামলার পর ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় গোটা পাহাড় অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গতকাল শনিবার সচিবালয়ে তিনি এমন কথা জানান। এর আগে সকালে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাসেক দুই প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা- হাটিকামরুল – রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেলওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও একটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে কথা বলেন। এদিন একই সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সকল লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন-ইটিসি কার্যক্রম চালুসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-দুই এর উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

পাহাড়ে সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সময় সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় গোটা পাহাড় অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। চীন ও ভারত সীমান্তের কাছে চীন স্টেট নামে একটা স্টেট আছে। ওখানে কেএনএফ এর একটি ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। তাদের সাথে আগে আলোচনা হলেও কেন তারা বিদ্রোহ করল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। যদি বাইরের কারো সাপোর্ট থাকে ইউপিডিএফ, সন্তু লারমার জনসংগতি সমিতি বললে আলাদা কথা। এই ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীকে কে সমর্থন দেবে? সংক্ষুব্ধ হয়ে তারা এটি করতে পারে।

এ সময় মিজোরামে বম জনগোষ্ঠী থাকার প্রসঙ্গ সাংবাদিকরা তুললে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিজোরামের সঙ্গে সম্পর্ক আছে ঠিক জানিনা। সীমান্ত থেকে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে এদের মদদ দিবে এটা আমরা মনে করি না। এখন তদন্ত চলছে। সব সত্যই বেরিয়ে আসবে।
গতবারের ন্যায় এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়কে গাড়ি চাপ আছে, তবে যানজট থাকবে না।

এ দিকে মতিঝিলে আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপির মাথা ব্যাথার কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এদেশের যতদিন নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে থাকবে ততদিন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নিরাপদ থাকবে।

নিজ বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে পত্রিকায় তাকালেই দেখি ফখরুলের বক্তব্য- দেশে ভয়াবহ এক অবস্থা বিরাজ করছে। কোথায়? একটা লোকও না খেয়ে মরেছে? কষ্ট আছে, সংকট আছে কিন্তু ভয়াবহ কোন সংকট এখানে নেই। দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো আছি। আশা করি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সংকট কেটে যাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা কত মানবিক নেতা হলে আওয়ামী লীগকে ইফতার পার্টি না করে ইফতার সামগ্রী গরিবের মধ্যে বিতরণ করে দিতে বলেছেন। বিএনপি জামাত একসঙ্গে ইফতার পার্টি করে সেখানে আওয়ামী লীগের গীবত করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দল ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানুষের নিরাপত্তা গিলে খাবে। এরা গোটা বাংলাদেশকেই গিলে খাবে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। অনুষ্ঠানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের নেতারা।

এমন আরো সংবাদ

এই সংবাদটিও পরতে পারেন
Close
Back to top button